ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে কিট সঙ্কট ও পিসিআর ল্যাব না থাকায় করোনা নমুনা পরীক্ষায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলাবাসী। অন্যদিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চলছে কিট সঙ্কট এবং জেলা হাসপাতালে নেই পিসিআর ল্যাব। এতে আতঙ্কিত মানুষ বোঝতে পারছেন না তারা করোনা না সাধারণ ভাইরাসে আক্রান্ত।
সরজমিনে রবিবার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে দেখা যায়, করোনা উপসর্গ নিয়েদশ-পনেরজন মানুষ দাড়িয়ে আছে। কিট সঙ্কটের কারণে নমুনা দিতে পারছেন না। এদিকে জনবল সঙ্কটের কারণেও সবার নমুনা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে স্বাস্থ্য বিভাগ দাবি করেছে।
সদর হাসপাতালে মাত্র একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নমুনা সংগ্রহের কাজ করছেন। তিনি প্রতিদিন চার-পাঁচজনের বেশি নমুনা সংগ্রহ করতে পারছেন না। যাদের নমুনা নেয়া হয়, জেলায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় তাদের রিপোর্ট পেতেও বিলম্ব হচ্ছে। নমুনা নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর তিনদিন থেকে আট-দশ দিনও সময় লেগে যায় রিপোর্ট পেতে। রিপোর্ট পাওয়ার আগেই ঝালকাঠি জেলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে তাদের মৃত্যু হয়, পরবর্তীতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
]শুধু ঝালকাঠি সদরের চিত্রই নয় এটি, পুরো জেলায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপসর্গ থাকা ব্যক্তিরা। রাজাপুর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়ায় আগে যেখানে ১০টি করে নমুনা সংগ্রহ করা হতো, এখন প্রতিদিন সেখানে তিন-চারজনের বেশি নমুনা নেয়া হয় না। এক্ষেত্রে কিট ও জনবল সঙ্কটকে দায়ী করেছেন সিভিল সার্জন।
ঝালকাঠির ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত কিট নেই, রয়েছে জনবলের অভাব। সদরে মাত্র একজনে নমুনা নিচ্ছেন, তিন উপজেলাতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় অন্য বিভাগের লোক দিয়ে নমুনা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে দু’জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের করোনা পজিটিভ হয়েছে। তাই আগের চেয়ে নমুনা সংগ্রহ কমে গেছে। এখানে জরুরীভাবে পর্যাপ্ত কিট ও জনবল এর ব্যবস্থা না হলে এ সমস্যা উত্তোরণ সম্ভব নয় এবং একটি পিসিআর ল্যাব থাকলে পরীক্ষার রিপোর্ট আরও দ্রুত দেয়া যেত।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply